তথ্য দিয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ী ও হত্যা মামলার আসামীকে ধরিয়ে দিলেন ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম

আবদুল্লাহ আল আজিজ,কক্সবাজার জার্নাল

উখিয়া উপজেলা নব নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে উখিয়ায় ইয়াবা গডফাদার ও হত্যা মামলার আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত যুবক হলেন, উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের খোন্দকার পাড়া গ্রামের কবির আহমদ (প্রকাশ ভিসিআর কবির) এর ছেলে কামাল উদ্দিন।

সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধায় হলদিয়া পালং ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের খোন্দকার পাড়া গ্রামে মাদক কেনা বেচা হচ্ছে এমন তথ্য জানায় এলাকাবাসী। এমন খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ফোন করে এ খবর জানান।

পরে এএসআই জমির উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় ৭নং ওয়ার্ডের খোন্দকার পাড়া জামে মসজিদের পাশ থেকে ওই মাদক কারবারিকে আটক করে পুলিশ। পরে উদ্ধার ইয়াবাসহ আসামিদের থানায় নিয়ে আসে।

স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কবির আহমদের ছেলে কামাল উদ্দিন দুই বছর আগেও ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করত ; কিন্তু হঠাৎ করেই আলাদীনের চেরাগ পাওয়ার মত করে তার অবস্থার পরিবর্তন ঘটতে শুরু করে এবং সে বছর ঘুরতেই নামে বেনামে বিভিন্ন সম্পত্তির মালিক বনে যায়। তার এ উত্তানের পেছনে আসল কারণ ছিল ইয়াবা। অল্প সময়ে ইয়াবা ব্যবসা করে টাকার মালিক হয়ে অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে। সম্প্রতি একই এলাকার মোহাম্মদের পুত্র নাছির উদ্দিন হত্যাকান্ডের সরাসরি অংশ নেন এই কামাল। হত্যা মামলার আসামী ছাড়াও তার বিরুদ্ধে অপহরণ মামলাও রয়েছে থানায়।

তার এ অপকর্ম বন্ধ করতে এলাকাবাসী বারণ করলে সে বিভিন্ন হুমকি ও মামলার ভয় দেখাত এমনকি তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় অনেকে তার অত্যাচারের শিকার হয়েছে। এছাড়া সে এলাকায় ব্যাপক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।
অনেকে তার বিরুদ্ধে কথা বলতে ভয় পেত। কামাল আটক হওয়ায় এলাকায় জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় (এসআই) জমির উদ্দিনসহ একটি দল। তখন কামাল উদ্দিন নামের মাদক ব্যবসায়ীকে ও হত্যা মামলার আসামীকে আটক করা হয়। এ সময় কামালের কাছে ইয়াবা পাওয়া যায়।

ওসি আরও জানান, আটককৃত যুবক দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসা করে আসছেন। তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। মামলা হওয়ার পর আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।